
অ্যাস্টন ভিলার মাঠে আর্সেনাল জেতায় দ্বিতীয় স্থানে নামতে হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটিকে। নটিংহ্যাম ফরেস্টের মাঠে জিতলে শীর্ষস্থান ফিরে পাওয়ার সুযোগ ছিল তাদের সামনে। শেষ সময় পর্যন্ত এগিয়েও ছিল তারা। কিন্তু আচমকা গোল খেয়ে বসে। তাতে হোঁচট খেলো ম্যানসিটি। ১-১ গোলের ড্রয়ে এক নম্বরে ওঠা হলো না পেপ গার্দিওলার দলের। একাধিক সুযোগ নষ্টের চড়া মূল্য দিলো তারা।
নটিংহ্যামের জমাট রক্ষণে ঠিক পেরে উঠছিল না ম্যানসিটি। সহজ সুযোগ তারা পায় আধঘণ্টা পর এবং তা নষ্ট করে। ৩৩ মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনার বাড়ানো বলে রদ্রির হেড গোলবারের পাশ দিয়ে যায়।
অবশেষে বিরতির আগে গোলের দেখা পায় ম্যানসিটি। ৪০ মিনিটে কর্নার থেকে ভেসে আসা বল প্রতিপক্ষ খেলোয়াড় হেডে বিপদমুক্ত করতে চেয়েছিলেন। বল পেয়ে যান জ্যাক গ্রিলিশ। কিছুটা সময় নিয়ে বল বাড়িয়ে দেন বের্নার্ডো সিলভাকে, ডান পায়ের শটে জাল কাঁপান পর্তুগিজ তারকা। সিটিজেনদের জার্সিতে ২৯ ম্যাচে প্রথম গোলের দেখা পান সিলভা।
৫১ মিনিটে অবিশ্বাস্য সেভে ম্যানসিটির ব্যবধান বাড়তে দেননি নটিংহ্যাম গোলকিপার কেইলর নাভাস। আইমেরিক লাপোর্তের বুলেট হেড গোলমুখে ছিল। কোস্টারিকান গোলকিপারের গায়ে লেগে ফিরে যায় এবং আলগা বল বিপদমুক্ত করেন স্বাগতিক ডিফেন্ডার।
৬০ মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনার ডান পায়ের শট গোলবারের পাশ দিয়ে যায়। ৬৮ মিনিটে অবিশ্বাস্যভাবে দুইবার সুযোগ নষ্ট করেন আর্লিং হাল্যান্ড। ফিল ফডেনের শট নাভাস ধরে রাখতে পারেননি। হাল্যান্ডের ভলি প্রথমে ক্রসবারে আঘাত করে ফিরে আসে, দ্বিতীয় শটে গোলপোস্টের উপর দিয়ে বল মারেন নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার।
৭৩ মিনিটে ইকে গুন্ডোগানের উঁচুতে ভাসানো ফ্রি কিক এক হাতে রুখে দেন নাভাস। এত সব সুযোগ নষ্টে স্নায়ুচাপে পড়েছিল ম্যানসিটি। নটিংহ্যাম সেই সুযোগ কাজে লাগায় এবং ম্যাচ শেষ হওয়ার ছয় মিনিট আগে গোল শোধ দেয়।
৮৪ মিনিটে উডের গোলে সমতা ফেরায় নটিংহ্যাম। মাঝমাঠ থেকে চারটি পাস বিনিময় করে বক্সে ঢুকে পড়েন ব্রেনান জনসন। তারপর গিবস হোয়াইটকে বল দেন এবং তার পাস থেকে গোলমুখের সামনে দাঁড়িয়ে ১-১ করেন ক্রিস উড।
এই ড্রয়ে ২৪ ম্যাচ শেষে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে আবার শীর্ষে ওঠা হলো না ম্যানসিটির। আগের ম্যাচে অ্যাস্টন ভিলাকে ৪-২ গোলে হারিয়ে এক নম্বর স্থানটি পুনরুদ্ধার করেছিল আর্সেনাল (৫৪)। এক ম্যাচ কম খেলে সিটিজেনদের চেয়ে ২ পয়েন্টে এগিয়ে তারা।
এদিকে দিনের আরেক ম্যাচে চেলসি ঘরের মাঠে সাউদাম্পটনের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে জেমস ওয়ার্ড-প্রাওসের গোলে জিতলো সাউদাম্পটন। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা পঞ্চম ম্যাচ জয়হীন থাকলো ব্লুরা। ক্রিস্টাল প্যালেসের সঙ্গে গত ১৫ জানুয়ারি জেতার পর থেকে জয়ের মুখ দেখেনি চেলসি।