
এই লিভারপুলকে গত বছরের সঙ্গে কিছুতেই মেলানো যাচ্ছে না। কি এক বেহাল দশা! জিততেই যেন ভুলে গেছে তারা। গোল পেতেও করতে হচ্ছে হাপিত্যেশ। লিভারপুল কি তাহলে সংকটে? প্রশ্নের উত্তরে ‘হ্যাঁ’ বলতে সময় নেননি কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। দলের বর্তমান সমস্যার কারণে সব দায় নিজের ঘাড়ে নিয়েছেন তিনি।
গত বছর কোয়াড্রুপল, মানে চারটি শিরোপা জিততে গিয়েও অল্পের জন্য হাতছাড়া করেছিল লিভারপুল। এফএ কাপ ও লিগ কাপে হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন। এছাড়া ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ম্যানসিটির চেয়ে এক পয়েন্টে পিছিয়ে থেকে হয়েছে রানার্সআপ। আর চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে খেললেও রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হারতে হয়েছে। মনে রাখার মতো একটা মৌসুম পার করেছিল তারা।
আর এবার যেন তাড়াতাড়ি মৌসুম শেষ হলেই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারে লিভারপুল। প্রিমিয়ার লিগে এখন তাদের অবস্থান দশ নম্বরে। এফএ কাপ থেকে বিদায় নিয়েছে চতুর্থ রাউন্ডেই। টুর্নামেন্টে এর আগের রাউন্ডে ২০২৩ সালের একমাত্র জয় পেয়েছিল অলরেডরা। লিগ কাপেও তাদের মিশন শেষ হয়েছে চতুর্থ রাউন্ডেই। চ্যাম্পিয়নস লিগে তাদের শেষ ষোলোর প্রতিপক্ষ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল। প্রতিশোধের আগুন মনে নিয়ে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি প্রথম লেগ খেলবে লিভারপুল।
কিন্তু বর্তমানে দল যে সংকটের মধ্যে, সেটা অস্বীকার করেননি ক্লপ। লিভারপুল কি সংকটে? এই প্রশ্নে ক্লপ স্কাই স্পোর্টসকে বললেন, অবশ্যই আমরা (সংকটে), এটা অস্বীকার করতে পারি না। এখান থেকে আপনাকে বেরিয়ে আসতে হবে এবং সেটাই আমরা করছি। এসবকিছুর জন্য আমি দায়ী, যদি সমালোচনা করতে চান, আমার সমালোচনা করুন। তাতে আমার কোনো সমস্যা নেই।’
গত মৌসুমের ধকলে খেলোয়াড়রা এবার ভুগছে নাকি, তা নিয়ে জার্মান কোচ বলেন, ‘আমি শতভাগ জানি না (গত মৌসুম শারীরিক ও মানসিকভাবে খেলোয়াড়দের ওপর কতটা প্রভাব ফেলেছিল)। কিন্তু আমরা জানি এটা প্রভাব ফেলেছিল। আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে বলছি আপনি যদি কোনোকিছুতে ভুগতে থাকেন, তাহলে ভুগতেই থাকবেন নয়তো আপনাকে এখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য লড়াই করতে হবে।’
এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসার পথ দ্রুত খুঁজতে হবে লিভারপুলকে। নয়তো এবারের ব্যর্থতা সামনের মৌসুমে প্রভাব ফেললেও ফেলতে পারে।