
গোল-পাল্টা গোল। সমতা ফিরলো। এরপর অ্যাস্টন ভিলা একবার সুযোগ পায়, তো আরেকবার আর্সেনাল। রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হাসলো গানাররা। দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি টাইমের গোলে নিশ্চিত হলো তাদের ৩ পয়েন্ট। ছয় গোলের থ্রিলার ৪-২ গোলে জিতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ টেবিলে শীর্ষে ফিরলো তারা।
পাঁচ মিনিটে ওলি ওয়াটকিন্সের গোলে এগিয়ে যায় ভিলা। বুকায়ো সাকার গোলে সমতা ফেরায় আর্সেনাল। আধঘণ্টা যেতে ফিলিপ্পে কৌতিনিয়ো আবার স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন। বিরতির পর এক ঘণ্টার মাথায় ওলেক্সান্দার জিনচেঙ্কোর গোলে আর্সেনাল স্কোর ২-২ করে। শেষ মুহূর্তে জর্জিনহোর শট ক্রসবারে লেগে ফিরে এসে গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজের মাথায় লেগে আত্মঘাতী গোল, তাতে জয় পায় আর্সেনাল।
ওখানেই শেষ নয়, একেবারে শেষ মুহূর্তে কর্নার কিক পায় ভিলা। গোলপোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আর্সেনালের বক্সে আসেন মার্তিনেজ। বল বিপদমুক্ত হলে ফাঁকা জালে বল জড়ান গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি।
২৩ ম্যাচে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আর্সেনাল। তিন পয়েন্ট পেছনে থেকে নটিংহ্যামের মুখোমুখি হবে ম্যানসিটি, লক্ষ্য থাকবে শীর্ষস্থান ফিরে পাওয়ার।
ম্যাচের প্রথম শট নিয়েছিল ভিলা। লুইজের ৩৫ গজ দূর থেকে নেওয়া শট গোলবারের পাশ দিয়ে যায়। ষষ্ঠ মিনিটে বক্সে ঢুকে পায়ের দারুণ কাজে সালিবাকে ফাঁকি দিয়ে কোনাকুনি শটে গোলমুখ খোলেন ওয়াটকিন্স।
১৬ মিনিটে আর্সেনাল সমতা ফেরায় সাকার গোলে। হোয়াইটের ক্রস হেড করে বিপদমুক্ত করতে চেয়েছিলেন মিংগস। বল পড়ে সাকার কাছে, দারুণ ভলিতে উঁচু কোনাকুনি শটে ১-১ করেন তিনি।
ভিলা আবার এগিয়ে যায়। বাঁ পাশ থেকে সতীর্থের বাড়ানো পাসে অ্যারন রামসডেলকে পরাস্ত করেন কৌতিনিয়ো। প্রথমার্ধ ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে শেষ করে ভিলা।
সমতা ফেরানোর লক্ষ্যে আর্সেনাল দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে। ৫৬ মিনিটে এনকেতিয়া বারের উপর দিয়ে বল মারেন। গোলের সম্ভাবনা জাগিয়েও নষ্ট হয়। পাঁচ মিনিট পর ওডেগার্ডের কাছ থেকে বল পেয়ে নিচু কোনাকুনি শটে সমতা ফেরান জিনচেঙ্কো।
৬৩ মিনিটে এনকেতিয়া বড় সুযোগ নষ্ট করেন। ওডেগার্ডের কাছ থেকে বল পেয়েও মার্তিনেজকে এগিয়ে আসতে দেখে গোলবারের উপর দিয়ে বল মারেন তিনি। ওডেগার্ড একেবারে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন গোলকিপারকে একা পেয়েও। সবাইকে অবাক করে দিয়ে বল মারেন গোলবারের পাশ দিয়ে।
খেলা শেষ হওয়ার ৮ মিনিট আগে বেইলি গোলবারে আঘাত করলে ভিলা এগিয়ে যেতে ব্যর্থ হয়। রামসডেলের ছোঁয়ায় বল দিক পরিবর্তন করে ক্রসবারে লাগে। ৮৭ মিনিটে সাকার শট সেভ করেন মার্তিনেজ। যোগ করা হয় ছয় মিনিট। এই সময়েই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেন জর্জিনহো। ৯৩ মিনিটে তার শক্তিশালী শট ক্রসবারে আঘাত করে, তারপর ফিরে গিয়ে মার্তিনেজের মাথার পেছনে লেগে জালে জড়ায়।
তৃতীয় গোল খেয়ে ভিলা শেষ মুহূর্তে কর্নারে সমতা ফেরাতে চেয়েছিল। গোলপোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তাদের গোলকিপার মার্তিনেজ। আর্সেনাল বল বিপদমুক্ত করেন এবং ভিয়েইরার পাস ধরে গ্যাব্রিয়েল বক্সে ঢুকে খালি জালে বল জড়ান।