খেলাধুলার সবর্শেষ আপডেট পেতে আমাদের সাথে থাকুন।

মাশরাফিদের হারিয়ে ফাইনালে কুমিল্লা

১০

পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে দারুণ খেলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে কোয়ালিফায়ারে এসেছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। আজ রোববার তারা প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। তবে জয় পায়নি তারা। তাদের ৪ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে নাম লিখিয়েছে কুমিল্লা।

এদিন ব্যাটিংটা ভালো হয়নি সিলেটের। কুমিল্লার বোলিং তোপে ১৭.১ ওভারে অলআউট হয়ে যায় মাত্র ১২৫ রানে। জবাবে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০ বল হাতে রেখে জয় তুলে নিয়ে চতুর্থবারের মতো ফাইনালে নাম লেখায় কুমিল্লা। এর আগে তিনবার ফাইনাল খেলে তিনবারই শিরোপা জিতেছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

তবে সিলেটের সামনে এখনো সুযোগ রয়েছে। মঙ্গলবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রংপুরের মুখোমুখি হবে তারা। এই ম্যাচে জয় পেলে ফাইনালে আরও একবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ পাবে তারা।

সিলেটের ইনিংসে ব্যাট হাতে নাজমুল হোসেন শান্ত সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন। ২৯ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় এই রান করেন তিনি। মুশফিকুর রহিম ২২ বলে ৪টি চারে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন। ১৭ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ২৬ রান করেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। আর র্জজ লিন্ডে ১ ছক্কায় ১৪ বলে করেন ১৩ রান। বাকিদের কেউ দুই অঙ্কের কোটায় রান করতে পারেননি।

বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন কুমিল্লার তানভীর ইসলাম, আন্দ্রে রাসেল ও মোস্তাফিজুর রহমান।

১২৫ রান তাড়া করতে নেমে কুমিল্লাকেও পরীক্ষা দিতে হয়। ৩২ রানে প্রথম, ৪৮ রানে দ্বিতীয়, ৫৮ রানে তৃতীয়, ৭৩ রানে চতুর্থ এরপর ১০৭ রানে পঞ্চম ও ষষ্ঠ উইকেট হারায়। কিন্তু উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সুনীল নারিন ১৮ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৯ রানের ইনিংস খেলে জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে যান।

আর মোসাদ্দেক হোসেন ২৭ বলে ৩ চারে অপরাজিত ২৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে জেতাতে দারুণ ভূমিকা রাখেন। আর আন্দ্রে রাসেল ২ ছক্কায় ১০ বলে ১৫ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। এর বাইরে মঈন আলী ১৩ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলের জয় সহজ করেন।

বল হাতে সিলেটের রুবেল হোসেন ৩.৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। ম্যাচসেরা হন কুমিল্লার বোলার তানভীর ইসলাম।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.