
পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) মাঠে গড়াবে ১৩ ফেব্রুয়ারি। তার আগে আজ রোববার (০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩) কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্সের ভক্ত-সমর্থকদের দাবিতে বেলুচিস্তানের নওয়াজ আকবর বুগতি স্টেডিয়ামে পেশাওয়ার জালমির বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচের আয়োজন করে। এই ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়াম ছিল কানায় কানায় পূর্ণ।
ম্যাচ চলাকালিন স্টেডিয়ামের কয়েক মাইল দূরে হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। এই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে স্টেডিয়াম এলাকাও। তাৎক্ষণিক বাবার আজম, সরফরাজ আহমেদ, ইফতিখার আহমেদদের মাঠ থেকে নিরাপদে ড্রেসিং রুমে সরিয়ে নেওয়া হয়। সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় বেশ কিছুক্ষণ খেলা বন্ধও থাকে।
বেলুচিস্তান পুলিশ লাইনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণ ঘটেছে পুলিশ লাইনে। আর এই বিস্ফোরণে পাঁচজন আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণ ঘটার অল্প সময়ের মধ্যেই উদ্ধার কার্যক্রম সম্পন্ন করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
তিনি আরও জানান, বিস্ফোরণ ঘটার পর পরই নিরাপত্তাজনিত কারণে খেলোয়াড়দের মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপর পুলিশ লাইন থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পর ম্যাচ আবার শুরু হয়।
ম্যাচে পেশাওয়ার জালমিকে শেষ ওভারের শেষ বলের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ৩ রানে হারায় কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্স।
এদিকে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)। তারা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরাপত্তা রক্ষীদের টার্গেট করে তারা এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। সম্প্রতি টিটিপি বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে। গেল সপ্তাহে তাদের আত্মঘাতী হামলায় বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে ৮০ জন নিহত হয়েছে।
বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটায় নাজুক নিরাপত্তা পরিস্থিতি আর সন্ত্রাসী হামলার শঙ্কায় গেল বেশ কয়েক বছর সব ধরনের ক্রীড়া আয়োজন স্থগিত ছিল। এবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড সেখানে প্রস্তুতি ম্যাচ আয়োজন করে ব্যাপক সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিল। অবশ্য বড় কোনো ঝামেলা ছাড়াই প্রস্তুতি ম্যাচটি তারা শেষ করতে পেরেছে। এই হামলাটি যদি স্টেডিয়াম এলাকায় হতো তাহলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারতো।