
প্রথমবার দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসছে আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট দল। একটি টেস্ট ও তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে দুই দল। সোমবার (২৩ জানুয়ারি, ২০২৩) দ্বিপক্ষীয় এই সিরিজের সূচি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
এর আগে আয়ারর্যান্ড ২০০৮ সালে বাংলাদেশে এসেছিল। সেবার কেবল তিনটি ওয়ানডে খেলেছিল দুই দল। এবার সীমিত পরিসরের দুইটি সিরিজই হবে ঢাকার বাইরে। ১২ মার্চ আইরিশরা ঢাকায় পা রাখবে। সিলেটে হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। ১৮ মার্চ হবে প্রথম ওয়ানডে। পরের দুইটি ওয়ানডে হবে ২০ ও ২৩ মার্চ।
সিলেট থেকে দুই দলের গন্তব্য চট্টগ্রাম। ২৭, ২৯ ও ৩১ মার্চ তিনটি টি-টোয়েন্টি হবে চট্টগ্রামেই। ঢাকায় একমাত্র টেস্টটি শুরু হবে ৪ এপ্রিল। এই টেস্ট দিয়ে আয়ারল্যান্ড সাড়ে তিন বছর পর বড় দৈর্ঘে্যর ক্রিকেটে ফিরবে এবং দুই দল প্রথমবার টেস্ট খেলতে নামবে।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, ‘ভারত ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পর আয়ারর্যান্ডের সফর বেশ রোমাঞ্চ নিয়ে আসবে। বিসিবি এবং ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড বেশ আন্তরিকতা ও শক্তিশালী সম্পর্ক বজায় রেখে এই দ্বিপক্ষীয় সিরিজ আয়োজন করতে যাচ্ছে। ব্যস্তময় ক্যালেন্ডার সূচিতে এই সিরিজ আয়োজন করা দুই বোর্ডের জন্য স্বস্তিদায়ক।’
আয়ারল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী ওয়ারেন ডেয়ুট্রম বলেছেন, ‘আমরা আনন্দের সঙ্গে বাংলাদেশের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ডের সাত ম্যাচের ভিন্ন ফরম্যাটের সিরিজ চূড়ান্ত করেছি। ১৯৯৭ সালে দুই দল প্রথম মুখোমুখি হয়েছে। দুই দলের মধ্যে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় এবং আশা করছি সামনে আরও ভালোমানের লড়াই হবে।’
বিপিএলের পরপরই বাংলাদেশ ইংল্যান্ডকে আতিথেয়তা দেবে। তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে ইংল্যান্ড আসবে বাংলাদেশে। ১৪ মার্চ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। চারদিনের ভেতরেই আয়ারল্যান্ডকে আতিথেয়তা দেবে বাংলাদেশ।