
বিশ্বকাপ দলে চমক হিসেবে আসে নাজমুল হোসেন শান্তর নাম। মূলত ওপেনার না পাওয়ায় তার ওপর আস্থা রাখেন নির্বাচকরা। শান্তকে টি-টোয়েন্টিতে বিবেচনা করাতেই শুরু হয় অনেক সমালোচনা। অথচ দেশের ইতিহাসে সেরা বিশ্বকাপ আসরে তিনিই করেছেন সর্বোচ্চ রান। তবুও তার খেলার ধরন নিয়ে চলছে তুমুল সমালোচনা।
তবে শান্ত এসব কথায় কান দেননি। তার মনোযোগ শুধু খেলাতেই। ‘আমাকে নিয়ে অনেক কথা হয়েছে, আসলে ওদিকে আমি একদম নজর দেইনি। আমি আমার ম্যাচে, খেলায় বা অনুশীলনে ফোকাস করেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ ভালো হয়েছে, কিন্তু আমি মনে করি যে এখান থেকে আরও ভালো করতে পারি। সামনে সেই চেষ্টা থাকবে।’- বললেন শান্ত।
সোমবার রাতে অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শান্ত। বিশ্বকাপে দুই ফিফটিতে ৫ ম্যাচে ৩৬ গড়ে করেছেন ১৮০ রান। দেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান আসে তার ব্যাট থেকেই। তিনি ছাড়া একমাত্র ফিফটি করেন লিটন দাস।
শান্ত রান পেলেও তার রান করার ধরন নিয়ে ছিল প্রশ্ন। শুরুতে বেশি বল ডট খেলে চাপ তৈরি করে ফেলা। পরে হাত খুলে খেলতে গিয়ে আউট হয়ে ফেরা। এই বিশ্বকাপে করা দুটি ফিফটির একটি আসে ৪৫ বলে, আরেকটি ৪৬ বলে। ৪৫ বলে ফিফটির পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পরের ১০ বলে যোগ করেন ২১ রান। তবে ৪৬ বলে ফিফটির পর এরকম খেলতে পারেননি। তার আউটে উল্টো আরও বিপদ বাড়ে। এছাড়া ভারতের বিপক্ষে খেলেছেন ২৫ বলে ২১ রানের ইনিংস। বাংলাদেশ এই ম্যাচ হারে ৫ রানে।
চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দুটি ম্যাচে জয় পায়, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাতে পারলেই সেমিফাইনাল। কিন্তু বাংলাদেশ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। আফসোস নেই শান্তর, ‘আমার মনে হয় যদি আমরা আগের বিশ্বকাপগুলোর দিকে তাকাই, ফল অনুযায়ী ভালো করেছি। সব থেকে ভালো যে দিকটা ছিল আমরা যে দুটা ম্যাচ জিতেছি, আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। ওগুলোতে আমরা দল হিসেবে ভালো খেলেছি। যেগুলো জিততে পারিনি ওগুলো দল হিসেবে জিততে পারিনি। সবাই একসঙ্গে পারফরম্যান্সটা আমরা করেছি।’
এই বিশ্বকাপে আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান, ‘অবশ্যই, এ বিশ্বকাপে আমরা যেরকম খেলেছি আমার মনে হয় এ আত্মবিশ্বাস সামনের বিশ্বকাপে দেবে। যদিও এ বিশ্বকাপে আমাদের আরও ভালো করার বড় সুযোগ ছিল। এটাই মাথায় থাকবে যে সামনের বিশ্বকাপে এর থেকে ভালো যেন আমরা করতে পারি এবং আমাদের হাতে আরও দুই বছর আছে। এই সময়ে আমরা ওভাবে নিজেদের প্রস্তুত করবো এবং সেভাবে যদি অনুশীলন করি সামনের বিশ্বকাপে আরও ভালো ফল করা সম্ভব।’